নাগরিক কাক
- দন্তস্য সিফাত ২৮-০৪-২০২৪

তোমাদের এই শহরে কাকের পাশাপাশি যুগলদের সংখ্যা বাড়ে, গাছের উপরে কাকদের মিলন মেলা আর নিচে তরুণ যুগলদের......।।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা গা ঘেঁষে তারা নিবিড়তা বোঝার চেষ্টা করে,
হেডফোন এর দুই প্রান্ত দুই কানে গিয়ে ভালবাসা উগলে দেয়। তারা একে অন্যতে হয় নিমগ্ন।
কফিশপে ভীড় জমে, এক কাপে দু ঠোঁটের প্রান্ত মিলে একাকার হয়, আপেক্ষিক সম্পর্ক তাদের কফির মতই কড়া হতে থাকে। রিকশা,সি এন জি তে ভালবাসা বাড়ে, রিকশা'র সিট সংকীর্ণ হলে ভালবাসা আরও বেশি হয়... রোদ বৃষ্টি'র অজুহাতে হুড তুলে তারা সব মানুষের ভিড়ে আলাদা হয়ে থাকতে চায়।

কাক গুলো নির্বিকার চেয়ে দ্যাখে, সন্ধ্যা নামলে তারা ঘরমুখি হয়, অথচ যুগল দের ক্লান্তি আসে না।
একে অন্যের চোখে দুনিয়া আর বুকে স্বর্গ খুঁজে পায়।
সন্ধ্যা আমার আকাশেও নামে, আমি চোখে দেখি দুনিয়ার জঞ্জাল, তাদের সুখ দেখি না,
আমার ফুসফুসে নিকোটিন প্রশান্তি দেওয়ার চেষ্টা করে, কফি'র কাপে আমার হাত যায় না, নিবিড়তা আমার বোঝা হয় না, শেষমেশ কাকের মতো নির্লিপ্ত থাকার চেষ্টা করি, বাজেট এর আগে সিগারেটের দাম বাড়লে ছেড়ে দেবার পণ করি।
যুগলদের বাহু বন্ধনের মতো সিগারেটের সাথে আমার বন্ধন মজবুত হয়।
যুগলদের ঘরের মন্ত্রি মিনিস্টার তাদের সন্তানদের বিয়ের বাজেট করে, তাদের সম্পর্কে চিড় ধরে, একে অন্যের সাহচার্য্য ছেড়ে নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তুত হয়। যুগলদের ফোনে ব্যাস্ততা বাড়ে, আমার সিগারেটের ধোঁয়ার মতো তাদের উদ্বায়ী ভালবাসা মিলে যেতে থাকে।

হেডফোনে বিরহ সঙ্গীত বাজতে থাকে, আমি তখন নিজেকে নিয়ে চিন্তা করি। সঙ্গী হারানো কাক গুলো নিরবে ভিড় করে আমার পাশে। আমি ও কাকগুলো মিলে জীবনের বাস্তবতা বোঝার চেষ্টা করি গভীর নিমগ্নতায়, পাশ দিয়েই দ্রুত বেগে হুড তোলা রিক্সা চলে যেতে থাকে............

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

kobisabujahmed
২৯-০১-২০১৫ ১৮:২৩ মিঃ

darun